সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটে যুবলীগ সন্ত্রাসী শামীম ইকবাল বাহিনীর নির্যাতনে শিকার ব্যবসায়ী এক নারী। চাঁদা না দেওয়ায় বার বার হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তিনি। বর্তমানে ঐ নারী ছেলে সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর দিন যাপন করছেন। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। ফলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ঐ নারী ও তার সন্তানদের অপহরণ খুন ও গুম করার চেষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর ই-এফ ব্লকের ফেডারেল গ্রীণ টাওয়ারের বাসিন্দা মার্জিয়া বেগম রুমা।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঐ এলাকায় ‘ওয়ান টু ওয়ান হানড্রেড’ নামীয় একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। এই প্রতিষ্ঠান সন্তানদের লেখাপড়া সহ তার জীবন-জীবিকার একমাত্র পাথেয়। এলাকার চিহ্ণিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নামধারী শামীম ইকবাল ও তার সহযোগিরা রুমার কাছে প্রায়ই ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় এ বছরের ফেব্র“য়ারী মাসে তার দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায় শামীম ইকবাল ও তার সহযোগিরা। এই ঘটনায় এসএমপি শাহপরান থানায় ৫৩(৩)১৭ নং একটি মামলা হয়। সম্পতি এ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী সাব্বির ধরা পড়লে শামীম ইকবাল ও তার বাহিনী চরম ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা দলবল নিয়ে গত ১৮ ও ২১ নভেম্বর ২ দফায় রুমা বেগমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় মার্জিয়া বেগম রুমা গত ৪ ডিসেম্বর এসএমপির শাহপরাণ থানায় যুবলীগ সন্ত্রাসী শামীম ইকবাল সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা {নং-৩(১২)১৭} করেন। মামলার অপর আসামীরা হচ্ছে নগরীর শাহজালাল উপশহরের সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিসলু, সৈয়দ মাজহারুল, যুবলীগ নেতা জাকিরুল আলম জাকির, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাহিদুর রহমান সাব্বির, কাওসার, কাজী জুবায়ের, ইসলাম উদ্দিন, রায়হান, মোশাহিদ, আমিন, মোমেন, ফজলুর রহমান, হুমায়ুন রশিদ সুমন ও আকবর।
সন্ত্রাসী হামলা ও মামলার দীর্ঘ ২২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও আসামীদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি মামলার বাদী রুমা ও তার সন্তানদের খুন এবং গুম করার হুমকি দিচ্ছে। মার্জিয়া বেগম রুমা তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) এসএমপি কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে পৃথক আবেদন করেছেন। উভয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট্র শাখা আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd