সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০১৭
তিনি বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতার মালিকানাধীন বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল উদ্বোধন করে দলীয় নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সমালোচিত হয়েছেন। এ নিয়ে নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি তার কয়েকজন অনুসারী ও দলের সুবিধাভোগীদের নিয়ে এক সময়ের সিলেট জেলা জামায়াতের সহকারী রোকন ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সক্রিয় জামায়াত নেতা মাওলানা শামছুজ্জামানের মালিকানাধীন তাহিরপুর উপজেলা সদরে পাঁচতলা বিশষ্টি শাহজালাল টাওয়ারে হোটেল টাঙ্গুয়া ইন উদ্বোধন করেন।
বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রতন এমপি এ হোটেল উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারীদের সঙ্গে অনেকটা তামাশাই করছেন। জামায়াত নেতা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও তার ভাই সিলেট জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ও সুনামগঞ্জ -১ আসনে জামায়াত-বিএনপির সমর্থন নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান হোটেল উদ্বোধনের সময় আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য রতন এমপির পাশেই ছিলেন।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য রতন এমপি অনেকটা ‘তামাশা’ করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে আমার ও দলীয় নেতাকর্মী অনেকেরই আমন্ত্রন ছিল। আমরা তা বর্জন করেছি। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান ও সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সুষেণ বর্মন ও সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসেন বিপক এর তীব্র নিন্দা জানান।
জামায়াত নেতা মাও.শামছুজ্জামানের সহোদর অ্যাডভোকেট নুরম্নজ্জামানের বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে কয়েকদফা মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি তা রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহিদ উদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার রাতে যুগানত্মরকে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বললেন, আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি। তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁন যুগানত্মরকে বললেন, যুবলীগ নেতা আবুল খয়ের হোটেলে আমারদেরকে আপ্যায়নের জন্য নিয়ে গেছেন। উদ্ভোধনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাছাড়া আমি অনুষ্ঠানে কাউকে নিয়ে যাইনি।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জোম হোসেন রতন এমপির বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮.২০ মিনিটে তিনি যুগানত্মরকে বলেন, এটি যে জামায়াত নেতার মালিকানাধীন হোটেল বিষয়টি আমার জানা ছিল না। টাঙ্গুয়া ইন’র প্রোপাইটার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল খয়েরের বলেই জানি। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ দলীয় নেতাকর্মীরাই ওই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে নিয়ে গেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবুল খায়ের যুগানত্মরকে বলেন, আমার মামা মাওলানা শামুছজ্জামান আদৌ কোনওদিন জামায়াতের রাজণীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
তিনি এলাকায় দানবীর হিসাবে পরিচিত। এলাকায় উনার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা ও মাদ্রাসা রয়েছে। মামা লন্ডন প্রবাসী হওয়ায় হোটেলটি আমার ছোট ভাই জাকারিয়া তত্বাবধান করে এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্য ওই হোটেলটি খুলেছেন।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd