সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
ছাতক প্রতিনিধি :: পাওনা টাকার দাবিতে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে গোল্ডেন ডিপিএস ডিভিশন‚ গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে গ্রাহকরা।
বীমার নির্ধারিত মেয়াদ পার হলেও দীর্ঘদিন ধরে ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিসে অফিসে ঘুরে নিরাশ হয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সকল গ্রাহক এক হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ‚ গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়ক প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
এসময় নারী গ্রাহকদের অনেককে রাস্তায় বসে অবরোধ করতে দেখা গেছে। অবরোধে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ছাতক থানার এসআই শাহিন আলম ও ছাতক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও গ্রাহকরা রাস্তা ছেড়ে অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহক সেখানে অবস্থান করছিলেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের রেওয়ান মার্কেটে অবস্থিত গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহকরা ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও তাদের টাকা পাচ্ছিলেন না। পাওনা টাকা চাইতে এলে তাদের নানাভাবে নাজেহাল করা হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
নার্গিস আক্তার নামক সিলেট ভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন‚ ২০১১ সালের দিকে তিনি একটি বীমা একাউন্ট খুলেন ৫ বছর পর যার বীমা দাবী পূরণ করার শর্ত থাকলেও বীমার মেয়াদ পুর্ন হলে দুই বছর ধরে তিনি অফিসে ধর্না দিচ্ছেন কিন্তু কোনো উপায় না দেখে অবশেষে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
আব্দুর রহমান নামের এক গ্রাহক বলেন‚ বিএনপি নেতা মুনশীফ আলীর মালিকানাধীন (ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনশীফ আলী‚ সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি) গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ৮ বছর আগে একটি বীমা একাউন্ট খুলি কিন্তু বীমার মেয়াদ পার হয়ে প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি নিজের জামানতই পাচ্ছেন না তাই সকল গ্রাহক একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
বিলকিস আক্তার নামের আরেক গ্রাহক জানান‚ গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউনিয়নের সুহিতপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন চয়নের (গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিস ইনচার্জ) প্ররোচনায় তিনি নিজের শেষ সম্বল জায়গা বিক্রি করে একটি বীমা করেন কিন্তু টাকা না পাওয়ায় তিনি এখন সহায় সম্বলহীন।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন চয়নের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও থাকে পাওয়া যায় নি।
তবে ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনশীফ আলী জানান‚ তিনি কোম্পানির এমডি নয় কোম্পানির এমডি নুর মোহাম্মদ। তিনি একজন শেয়ার হোল্ডার এব্যাপারে ব্রাঞ্চ ইনচার্জ চয়নের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। তবে গোবিন্দগঞ্জ যেহেতু উনার এলাকা উনি এমডির সাথে এবিষয়ে কথা বলবেন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান‚ অবরোধের ব্যপারে তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন এবং বর্তমানে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd