সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি :: ষোড়শী মেয়েকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের একটি কলোনীতে বসবাসরত এক লম্পটকে আটক করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পেয়ে শনিবার বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ লম্পট ওই ব্যক্তিকে আটকের পূর্বে জঘন্য এ অপরাধের খবর ছড়িয়ে পড়লে কলোনির বাসিন্দারা তাকে গণধোলাই দেয়। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার মৃত সামসুল মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (৫০) দ্বিতীয় স্ত্রী ও স্ত্রীর আগের স্বামীর ঘরের এক কন্যাকে নিয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার দাসগ্রামের রাজ্জাক মঞ্জিলে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। ধৃত কাদির পৌরশহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
থানার দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, কাদিরের স্ত্রী হেলেনা বেগমের পূর্বে অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। সে স্বামীর ঘরে তার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। এক কন্যার বিয়ে দিলেও ষোড়শী অপর কন্যা তার সাথে ছিল। এ অবস্থায় কাদিরের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এ বিয়ের পর ওই কন্যাকে সাথে রাখেন হেলেনা। এরপর থেকে তারা পৌরশহরের দাসগ্রামের রাজ্জাক মঞ্জিলে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎ কন্যাকে নিয়ে কাদির বসবাস শুরু করেন। হেলেনা বেগম বিয়ানীবাজারের এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়া হিসেবে কাজ করেন। মেয়ে ও স্বামীকে বাসায় রেখে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে কাজের জায়গায় চলে যান। বাসা ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে কাদির সৎ কন্যাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি (১৬) চিৎকার করলে আশাপাশের লোকজন ছুটে এসে কাদিরকে হাতে নাতে আটক করে গণধোলাই দেন।
খবর পেয়ে বাসায় ছুটে যান হেলেনা বেগম। মেয়ের মুখে সব কথা শুনে তিনি থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর পুলিশ দাসগ্রাম থেকে লম্পট কাদিরকে আটক করে। আটকের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হেলেনা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন বলেন, মেয়ের শ্লীলতাহানীর অভিযোগে তাঁর সৎ পিতা আব্দুল কাদিরকে আটক করে কলোনির বাসিন্দারা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ খবর দিলে আমরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী হেলেনা বেগম থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd