সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়ার এক মাস্টারের স্ত্রী পরকিয়ার নেশায় মত্ত হয়ে বর্তমানে দারোগার ঘর করছে। দুই সন্তানের জননীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের এক দারোগার বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের জনৈক শাহজাহানের কন্যা ফরিদা পারভীনের সাথে ২০০৩ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই জেলার চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মরহুম আব্দুস ছামাদের পুত্র ইমরান হোসেন মাস্টারের সাথে। তাদের সংসারে আসফি (৯) ও ফয়সাল (১) নামের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ইমরান চাকুরীর সুবাদে সাঁথিয়াতে বাসা করে ১৪ বছর ধরে সংসার করে আসছিলেন।
ঘটনার দিন গত ২০ অক্টোবর’১৭ শুক্রবার ইমরান মাস্টার জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী ফরিদা পারভীন বাসায় নেই। ফরিদা পারভীনকে বাসায় না পেয়ে খবর দেওয়া হয় তার আত্মীয়-স্বজনদের। অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায় না। কিছুদিন পরে একটি মোবাইল থেকে ফোন আসে ইমরান মাস্টারের কাছে।
ফোনে তিনি ইমরান হোসেন মাস্টারকে জানান, ফরিদা পারভীন আপনাকে ডিভোর্স দিয়েছে এবং আমি তাকে বিয়ে করেছি। ইমরান মাস্টার প্রতি উত্তরে বলেন, ”দেশে এত মেয়ে মানুষ থাকতে আমার ও দুটি বাচ্চার জীবনকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়ে কেন আপনি দু’সন্তানের জননী আমার স্ত্রী ফরিদাকে বিয়ে করলেন?।
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”আমি দুঃখিত; আমি ফরিদাকে চাই, তার ছেলেদের ভবিষ্যত দেখা আমার বিষয় নয়।”
ইমরান হোসেন জানায়, ফোনদাতা সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের নাড়িয়া গদাই গ্রামের আইনাল হোসেনের ছেলে পুলিশের এস আই আলতাব হোসেন। আলতাব নিজেও বিবাহিত। তার ঘরে আল নাঈম (১৩) ও আল কাফি (৪) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে । আল নাঈম সিরাজগঞ্জের সরকারী বি এল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তিনি তার স্ত্রী সন্তানদের আগের কর্মস্থল সিরাজগঞ্জ রেখে বর্তমান কর্মস্থল ঢাকাতে থাকেন।
সূত্র জানায়, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, আর ও -২, ইউনিট-১, এস.পি.বি.এম, ঢাকাতে কর্মরত আছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd