এবার “গোয়াইনঘাটে মালুম শাহ মাজারের সন্ধান”

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৭

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : ৩৬০ আউলিয়ার দেশ পূণ্যভুমি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের মোহাম্মদপুর গ্রামে হযরত মালুম শাহ নামের একটি মাজারের সন্ধান পাওয়া গেছে।প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, মালুম শাহ মাজারটি স্থাপন করেন মোহাম্মদপুর গ্রামের কবির মিয়া। এ নিয়ে এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কথিত মাজারটি অপসারনের জন্য গত ১০ নভেম্বর ২০১৭ গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করে এলাকাবাসী। মোহাম্মদপুর এলাকার মোস্তফা মিয়, আব্দুর রাজ্জাক,সায়েম মিয়াসহ এলাকার লোকজন জানান, কবির মিয়া মনগড়াভাবে কয়েকটি পাথরের চারদিকে লালশালু কাপড় দিয়ে সাঝিয়ে মাজার তৈরী করেন,এখানে কোন সময় মাজার ছিলনা। সে কবিরাজীর নামে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে অবৈধ টাকা আদায়ের জন্য মাজার আবিস্কার করেন। এ মাজার শরীয়াত বিরোধী, ইসলাম বিরোধী,১/১১ সময় সরকারী ভুমি উচ্ছেদ অভিযানের ভয়ে মাজার সংলগ্ন স্থানে সে একটি মসজিদ নির্মাণ করে ছিল যাতে করে তার সম্পদ রক্ষ হয়। যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হওয়ার পর সে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে।ওই সময়ও এলাকার লোকজন তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল।এখন শিল্প মন্ত্রনালয়ের অধীনে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করা হলে সরকারের অপদখলীয় ভ’মি হারানোর ভয়ে এখন সে একটি মাজার স্থাপন করেন। তবে এ মাজারকে গিড়ে রূপ কথার কল্পকাহিনীর জল্পনা- কল্পনার শেষ নেই সাধারণ লোকজনের মনে।রোগ মুক্তির জন্য অনেক লোকজনও আসে মালুম শাহ্’র মাজারে। সম্প্রতি কয়েক জন মহিলা মাজারের পানি পড়া খেয়ে তাদের দীর্ঘ দিনের কঠিন রোগ ভাল হয়েছে। এদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি কথা জানতে পেরে মোহাম্মদপুর এলাকা ও আশ-পাশের মসজিদ থেকে শতাধিক ধর্মপ্রান মসুল্লীরা মাজারের পাশে জড়ো হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়।প্রশাসনের মাধ্যমে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে মাজার উচ্ছেদ না হলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এর দাতভাঙ্গা জবাব দেবে। এসময় সিলেটের হযরত শাহজালাল(রাঃ) মাজারের খাদেম,মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, কবির মিয়ার বাড়ীতে যে মাজারটি রয়েছে তা সঠিক এটা ওলি আউলিয়াদের মাজার । তিনি আরো বলেন, ১৯৬৫ ইং সালে হযরত মালুম শাহ নামের এক আউলিয়া, কবির মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন স্থানে দ্ব্যানে বসতেন। মাজারের খাদেম কবির মিয়া বলেন, এটা ওলি আউলিয়াদের মাজার আমি এবং আমার স্ত্রী স্বপ্ন যোগে পেয়েছি। বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে লোকজন আমার কাছে আসে।আমি পানি পড়া ঝাঁর ফুঁ দিলেই তাদের রোগ মুক্ত হয়। লোকজনের উপকারে আসে বিধায় আমার কাছে আসে। আমি কোন ধরনের টাকা পয়সা কারও কাছ থেকে নেই না। মাজারের খাদেম কবির মিযার স্ত্রী বলেন,স্বপ্নযোগে মাজারটি পেয়েছি।মাজারের রক্ষনা-বেক্ষণ না করলে আমার পরিবারে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। মাজারের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করায় আমার এক মাসুম ছেলের মৃত্যু হয়েছে।লোকজন এখানে আসলে ভাল হয় তাই আসে। আমরা তো কাউকে ডেকে মাজারে আসতে বলিনি যার ভাল লাগে সে মাজারে আসে।মাজারের খাদেম কবির মিয়া এখন তার পরিবারের নিরাপত্তা ও মাজারটি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..