সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৭
গোয়াইনঘাট প্রতিনধি :: গোয়াইনঘাটের লেঙ্গুড়া ইউপির ডৌবাড়ি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সহস্র ডেলিভারী পূর্ণ করলো সহযোগি সংস্থা মমতা প্রজেক্ট। মা ও নবজাতকের সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো কেন্দ্রটিতে।
সোমবার (০৬ নভেম্বর) সকাল সোয়া দশটায় কেন্দ্রে জেসমিন আক্তারের চতুর্থ সন্তান জন্মগ্রহন করলো প্যারামেডিকস ফাতেমা বেগমের হাতে। ফলে ওই কেন্দ্রের সহস্র ডেলিভারী পূর্ণ হলো।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের পরিচালক মো: কুতুব উদ্দিন কেন্দ্রে সহস্র ডেলিভারী পূর্নের সফলতা বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার পরিষদ ও জনসাধারণের সহযোগিতায় সমন্বিত প্রচেষ্টায়এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি এলাকার সকল জনপ্রতিনিধিসহ জনসাধারনদেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।সেইভ দ্যা চিলড্রেনের পক্ষে ডাঃ লাকী আক্তার মমতা প্রজেক্টের সাবেক সিলেট জেরা সমন্বয়কারী জামিল আহমদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এমওএমসি এইচ ডাঃ নূর জাহান বেগম হাসি, সিনিয়র ভিজিটর জাহানারা আক্তার মমতা প্রজেক্টেও উপজেলা সমন্বয়কারী মুহিবুর করীম অনুরুপ মন্তব্য করেবলেন সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ যে সফলতা আনতে পারে তার উদারন ডৌবাড়ি পরিবার কল্যান কেন্দ্র।ডাঃ লাকী আক্তার আশা করেন এখানের আরও কয়েকটি কেন্দ্রে এই সময়েই সহস্র ডেলিভারী পূরন হবে, তবে যখন প্রকল্প থাকবে না তখন এ সাফল্য ধরে রাখার বিষযে চিন্তা করতে হবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রটিতে ডেলিভারী সেবা শুরু হলে আজ ৬ নভেম্বর-১৭ পযর্ন্ত ১৫০ গর্ভবতীকে প্রেরণ এবং সহস্র জনের ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ইউপির বলেশ্বর গ্রামের জেসমিন আক্তার (২৮) কেন্দ্রে জন্মদানকারী সহস্রতম শিশু কুলে নিয়ে বসে রযেছেন, তাদের সেবা দিচ্ছেন প্যারামেডিকস ফাতেমা বেগম। জেসমিনের এটা চতুর্থ সন্তান। প্রথম সন্তান ৮ বছর পূর্বে বাড়িতে জন্মের পর পরই মারা যায়। মমতা প্রজেক্টের মাধ্যমে কেন্দ্রে সেবা চালুর পর সকল গর্ভবতীরা এখানে আসছে,সময়মত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছে এবং অত্যন্ত যত্ন সহকারে স্বজনদেরমত পরিচর্যাপূর্ন পরিবেশে প্রসব ও নবজাতকের সেবা পাচ্ছে বিনিময়ে কাউকে দিতে হচ্ছে না টাকা।
কেন্দ্রে ফতেহপুর ইউপির লামাপাড়া থেকে আগত বৃদ্ধা মহিলা ফুলবান বলেন, তার পুত্রবধূ সাকেরা (৩২)-কে এথানে নিয়ে এসেছেন প্রসবের জন্য। তিনি ওই কেন্দ্রের সুনাম শুনে এখানে দূর থেকে এসেছেন।তোয়াকুলের লক্ষীনগর গ্রামের মনোয়ারা (৩২) গর্ভকালীন চেক-আপ করতে এসেছেন এই কেন্দ্রে।
বেশ কযেকজন মহিলারা জানান, পূর্বে এখানে এই সুযোগ ছিল না। বর্তমানে মমতা ও সরকারের সেবায় গরীব-দুঃখী মানুষ উপকার পাচ্ছে, এখন প্রসব কালীন সময়ে মা-দের কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় কর্মীদের পরামর্শে ফলে দশ্চিন্তা-আর্থিক ক্ষতি ও মা শিশুর প্রাণ নাশের ঝুকি কমেছে। তারা চান সরকারের সমন্বিত উদ্যোগে মা-শিশুর জীবন রক্ষায় মমতা পজেক্টের মমতার সেবা যেন সুদীর্ঘকাল প্রসারিত হয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে তাদের এই আর্তি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd